KM Farhan
https://www.kmfarhan.com/2022/03/blog-post_20.html
আল্লাহর দেয়া উপদেশ
আল্লাহর দেয়া উপদেশ
আল্লাহ দেয়া উপদেশ জানতে চান? আল্লাহর দেয়া উপদেশ সম্পর্কে কিভাবে জানবেন? আল্লাহর দেওয়া উপদেশ সম্পর্কে জানার উপায় কি?
আল্লাহর দেওয়া উপদেশ। আপনারা কি আল্লাহর দেওয়া উপদেশ সম্পর্কে জানতে চান? আল্লাহর দেওয়া উপদেশ সম্পর্কে জানার উপায় কি? আল্লাহর দেয়া উপদেশ সম্পর্কে কেনো জানবেন? আল্লাহর দেওয়া উপদেশ সম্পর্কে জানার প্রয়োজনীয়তা কি? আল্লাহর দেওয়া উপদেশ সম্পর্কে কোথায় জানবেন?
আস্সালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু, প্রিয় বন্ধুরা আপনারা কি আল্লাহর দেয়া উপদেশ সম্পর্কে জানতে চান? আপনারা কি আল্লাহকে উপদেশ সম্পর্কে খুঁজছেন ? আপনি কেন জানতে চান না আল্লাহর দেওয়া উপদেশ সম্পর্কে? আপনি কি আল্লাহর দেওয়া উপদেশ সম্পর্কে জানেন?
আপনি নিশ্চয়ই জানেন না আল্লাহর দেয়া উপদেশ সম্পর্কে।তবে আজকের পোস্টটিতে আপনাদের জন্য থাকছে আল্লাহর দেয়া উপদেশ সম্পর্কিত তথ্য এজন্য দয়া করে পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়বেন।
আল্লাহর পরিচয়
আল্লাহ কে এবং তার পরিচয় কি? এই পুরো পৃথিবীর মহাকাশ ও আসমান ও জমিনের স্রষ্টা সৃষ্টিকর্তা হলেন মহান আল্লাহ সুবহানাতায়ালা।
আমাদের জানা না জানা সবকিছুর মালিক আল্লাহ। তিনি যখন যা ইচ্ছা তাই করতে পারেন। তিনি নিরাকার পরম করুনাময় অসীম দয়ালু ।তিনি রহিম ,তিনি রহমান তিনি করিম, তিনি জব্বার। তিনি হলেন "মালিকুল মুলক" (সারা জাহানের মালিক)।
এই আসমান জমিন, গাছপালা ,নদনদী ,জিন-পরি, মানবজাতি ,পৃথিবী ,মহাকাশ ও সৌরজগৎ সবকিছুই সৃষ্টি করেছেন আল্লাহ সুবহানাতায়ালা।
আল্লাহর দেয়া উপদেশ
আল্লাহ তায়ালার মানবজাতির মঙ্গলের জন্য অনেক কিছু করেছেন । এবং আল্লাহ তায়ালা বহু আদেশ-উপদেশ দিয়েছেন। আল্লাহর দেয়া উপদেশ গুলি হল_
- আল্লাহর দেয়া উপদেশ গুলির মধ্যে সর্বপ্রথম যে উপদেশ সেটি হচ্ছে জাতি-ধর্ম-বর্ণ বংশ ছোট বড় সবাইকে শ্রদ্ধা ও সম্মান করা।
- মানুষের সাথে ছলনা করে কথা না বলে যে উদ্দেশ্যে কথা বলতে চাই সে উদ্দেশ্য সম্পূর্ণ স্পষ্টভাবে বলা।
- সর্বোত্তম কথা সর্বোত্তম পদ্ধতিতে বলা।
- উচ্চস্বরে চিল্লাপাল্লা না করে নম্র ভাষায় নম্রতার সহিত কথা বলা।
- সর্বদা সত্য কথা বলা। মিথ্যা বলা থেকে দূরে থাকা।
- সত্য কে মিথ্যা বা মিথ্যাকে সত্য বলে চিন্তা করা বা মিশ্র করা থেকে বিরত থাকা।
- সব সময় মনের কথা বলা।
- সমাজের মানুষ যে ভাষায় কথা বুঝে সেই ভাবে কথা বলা।
- মত প্রকাশের ক্ষেত্রে সত্যের পথ বেছে নিন যদি তা নিজের আত্মিয়ের বিরুদ্ধে হয়ে থাকে।
- অসার ক্রিয়া-কলাপ বলা শোনা বা করা থেকে বিরত থাকা।
- প্রকাশ্যেই হোক কিংবা গোপনে অশ্লীল কাজের আশেপাশেও কখনো যাবেন না।
- যদি ভুলে অনিচ্ছায় কোন অসৎ কাজ নিজের দ্বারা হয়ে যায় তা হলে তাৎক্ষণিকভাবে তা থেকে দূরে সরে আসা।
- মানুষের সাথে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করা থেকে বিরত থাকুন।
- শান্ত ধীর স্থিরভাবে নম্রতার সাথে চলাফেরা করা।
- যে বিষয়ে আপনার পরিপূর্ণ জ্ঞান নাই সেই বিষয় নিয়ে কথা বলবেন না ,পারলে চুপ থাকুন।
- কারো বিষয়ে কোন মন্দ কথা শুনলেও তাকে নিয়ে মন্দ চিন্তা করবেন না। যতক্ষন না আপনি নিশ্চিত হয়ে যাচ্ছেন বা আপনার কাছে প্রমাণ হচ্ছে।
- কোন মানুষের সাথে সাক্ষাৎ হলে তাদের কুশলাদি জিজ্ঞাসা করা এবং তাদের জন্য মঙ্গল কামনা করা।
- আপনি যতই বড় জ্ঞানী হোন না কেন নিজেকে বড় জ্ঞানী বলে মনে করবেন না ।এই পৃথিবীতে শেখার কোন শেষ নাই ।আর আল্লাহ তায়ালা বলেন জ্ঞানের ও জ্ঞানী মহাজ্ঞানী।
- অন্য কেউ বেইজ্জতি সম্মানহানি হয় এমন কাজ করা থেকে বিরত থাকা। কখনো কারো মনে জানা-অজানায় আঘাত না করা।
- বিকৃত বা হাস্যকর নামে কাউকে ডাকা যাবে না। যাতে কেউ কষ্ট পায় এমন কাজ করা যাবে না।
- একে অপরের গোপনীয় বিষয় গুলো গোপনে রাখা এবং সেগুলো প্রচার করা থেকে বিরত থাকা ।কারণ আল্লাহর কাছে এটি সবচেয়ে নিকৃষ্ট কাজ।
তাহলে আপনারা জানলেন আল্লাহর দেয়া উপদেশ ।আশা করি সবাই আল্লাহর দেয়া উপদেশ সম্পর্কে জানতে পেরে উপকৃত হয়েছেন ।আমাদের পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ধৈর্য ধরে পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ।
আমাদের এই সাইটটিতে ইসলামিক স্বাস্থ্য মোটিভেশনাল এবং বিভিন্ন টিপস এন্ড ট্রিক্স নিয়ে পোস্ট করা হয় তাই নিয়মিত সাইটটি ভিজিট করুন ধন্যবাদ ।
0 Comments
দয়া করে নীতিমালা মেনে মন্তব্য করুন