ভবিষ্যৎ ইন্টারনেট সার্ভিস | Starlink satellite Internet service
আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ আপনি জেনে খুশি হবেন প্রতিনিয়ত অতি গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন বিষয় ভিত্তিক পোস্ট করে থাকি যা আপনাকে প্রমোট করবে।
আলোচনা করব, ভবিষ্যৎ ইন্টারনেট সার্ভিস Starlink কে নিয়ে | Starlink service নিয়ে।
Starlink এর যাবতীয় বর্তমান তথ্য জানতে ক্লিক করুন।ভবিষ্যৎ ইন্টারনেট সার্ভিস Starlink
Starlink spacex এর একটি প্রতিষ্ঠান।Starlink মুলত স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সার্ভিস।
যা পৃথিবীতে কম মূল্যে উচ্চগতিসম্পন্ন ইন্টারনেট সুবিধা দিতে Starlink এর মালিক Elon musk কাজ করে যাচ্ছে।২০১৫ সালের জানুয়ারি মাসে spacex এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি জানান Starlink প্রযুক্তির কথা প্রকাশ করেন।Elon musk এর এই প্রযুক্তি যা প্রযুক্তির যুগান্তকারী পরিবর্তন আনতে পারে।
২০২০ সালের অক্টোবর মাসে পাবলিক ডাটা টেস্টিং এর মাধ্যমে spacex এর Starlink স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সার্ভিস সীমিত পরিসরে শুরু করেছে।
এ সমস্ত সকল তথ্য দেয়া হচ্ছে spacex এর ওয়েবসাইট এবং বিভিন্ন ভিডিও ব্লগের মাধ্যমে।
Starlink কি??
Starlink মূলত spacex এর স্যাটেলাইট ইন্টারনেটের এক নক্ষত্র মন্ডল।
যার মাধ্যমে spacex বিশ্বব্যাপী ইন্টারনেট সার্ভিস দিতে পারবে।Starlink এর কাজ কি??
Starlink এর মাধ্যমে spacex ইন্টারনেট থেকে বঞ্চিত অঞ্চলগুলোতে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে হাই স্পিড ইন্টারনেট সার্ভিস প্রদান করা।
(Starlink স্যাটেলাইট) ইন্টারনেট সার্ভিস প্রদান এর লক্ষ্যে specx প্রথম অবস্থাতে ১২০০০ স্যাটেলাইট প্রেরণ করবে। যার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি কম মূল্যে হাই স্পিড ইন্টারনেট সার্ভিস প্রদান করতে পারবে।Starlink কেন সেরা??
স্যাটেলাইট ভিত্তিক ইন্টারনেট সেবা দেওয়া হয় জিএস স্টেশনারি থেকে ৷ স্যাটেলাইট গুলো মূলত পৃথিবী থেকে ৩৫ হাজার কিলোমিটার উপরে নির্দিষ্ট পয়েন্টে ঘুরতে থাকে।
তাদের ইন্টারনেট সার্ভিস ২৪০ এমএস থাকার কথা থাকলেও তা বেড়ে ৪০০ থেকে ৫০০ এমএস হয়ে যায়। যা হাই স্পিড ব্রডব্র্যান্ড লাইনের লেটেন্সি এর তুলনায় দশগুণ। যার জন্য ব্যবহারকারীরা ডাউনলোড এবং আপলোড স্পীড অনেক কম পেয়ে থাকে।
এসব কথা মাথায় রেখে Starlink লোলেটেন্সি এবং হাই স্পিড ইন্টারনেট সুবিধা দিতে পৃথিবীর কাছাকাছি অর্থাৎ ৫৫০ কি.মি. এ প্রায় ১২০০০ স্যাটেলাইট বসানো হচ্ছে।
Starlink তাদের স্যাটেলাইটের লেজার কমিউনিকেশন অ্যাড করেছে যার মাধ্যমে, তাদের মধ্যে কমিউনিকেশন মেইনটেইন করতে পারবে।
তাদের তথ্য মতে তাদের স্যাটেলাইটে চারটি এন্টিনার থাকবে যা ইউজারদের ট্রান্সিবার এর সাথে কাজ করবে। ট্রান্সিবার এ মোটর লাগানো থাকবে যার মাধ্যমে ট্রান্সিবার অটোমেটিক বেস্ট ইন্টার্নেট কানেকশন অ্যাড করতে পারবে।
ট্রান্সিবার মূলত গোল এন্টিনার এর মত যা বাসা বাড়ির ছাদে বসাতে হয় যেন আকাশের ক্লিয়ার ভিউ পাওয়া যায় এমন ভাবে বসাতে হবে।ট্রান্সিবার এ আসবে ইন্টারনেট কানেকশন এবং ওইটা বলছি ওয়াইফাই রাউটার এ প্রেস করতে হবে তাহলেই ইউজাররা ওয়াই-ফাইয়ের মাধ্যমে তারা ইন্টারনেট সার্ভিসটি উপভোগ করতে পারবে।
কত সালে Starlink তাদের স্যাটেলাইট লঞ্চ করে??
২৩ মে ২০১৯ সালে Starlink পরীক্ষামূলক ভাবে তারা ৬০ স্যাটেলাইট লঞ্চ করে।
তার ইন্টারনেট সার্ভিস এর মাধ্যমে তিনি তার টুইটারে পোস্ট করেন যে এটা কাজ করছে।২০২১ এর ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মোট ১১০০ টি স্যাটেলাইট লঞ্চ করেছে specx।
বিভিন্ন আর্টিকেল থেকে জানা গেছে স্টারলিনক ইউজারদের প্রতিমাসে খরচ হবে 99 ডলার এবং স্টারলিংক কিট কিনতে খরচ হচ্ছে 499 ডলার।
ইতিমধ্যে নিম্নবর্ণিত দেশগুলো স্টারলিনক এ রেজিস্ট্রেশন করা শুরু করে দিয়েছে।
Starlink এর যাত্রা শুরু উদ্দেশ্য, দুর্গম অঞ্চল এ ইন্টারনেট সুবিধা দেওয়ার লক্ষ দিয়ে শুরু হলেও স্যাটেলাইট বদলে দিতে পারে সম্পূর্ণ ইন্টারনেট ব্যবস্থা কে উন্নত করতে পারে ইন্টারনেট সার্ভিস সমূহ।।
ক্রিপ্টোকারেন্সি এবং শেয়ার বাজারের মত বিজনেস কোম্পানিগুলো স্টারলিনক ইন্টারনেট সার্ভিস গ্রহণের ইচ্ছুক।
মাইক্রোসফট এর আযুর ক্লাউড সার্ভিসটি অলরেডি স্টারলিং এর স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সার্ভিস এর সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়ে গিয়েছে।
Elon musk এর মতে Starlink এর সেটেলাইট ইন্টারনেট সার্ভিস specx এর চেয়ে অধিক লাভজনক ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান এ পরিণত হবে।
আরো জেনে নিন আপনার কিছু অজানা তথ্য।
ইন্টারনেট কি?
ইন্টারনেট হলো পৃথিবী জুড়ে কম্পিউটারের বা যে কোন ডিভাইস এর সাথে পরস্পর যুক্ত করার এক মাধ্যম , এই মাধ্যমে সহজেই পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের সঙ্গে যুক্ত থাকা সম্ভব এবং তথ্যের আদান প্রদান সম্ভব।
ইন্টারনেটকে কিছুটা বাহনের এর সঙ্গে তুলনা করা যায়। বাহনটির মাধ্যমে কোন তথ্য দেশের এক প্রান্ত থেকে আর এক প্রান্তে পাঠাতে পারবেন। এবং এর মাধ্যমে তা সংগ্রহও করতে পারবেন।
কেবল মাএ ইন্টারনেটের মাধ্যমেই সম্ভব কোন ডিজিটাল ফাইল কয়েক সেকেন্ডের এর মধ্যে পৃথিবীর একপ্রান্ত থেকে আর একপ্রান্তে পাঠানো ।
ইন্টারনেটে কিভাবে তথ্য আদান-প্রদান হয়??
ইন্টারনেট নেটওয়ার্কের সাথে বিভিন্ন ডিভাইস এর সঙ্গে যুক্ত হওয়ার একটি মাধ্যম হলো (TCP/IP) নামে আমাদের কাছে পরিচিত। মানে প্রতিটি নেটওয়ার্ক এর নির্দিষ্ট ঠিকানা রয়েছে। এবং ঠিকানাটাই হচ্ছে ওই ডিভাইসটি বর্তমানে যেখানে রয়েছে। আর আপনি কোন কিছু পাঠালে সেখানে গিয়েই আপনার ডাটাটা ট্রান্সফার হচ্ছে।
কিভাবে ইন্টারনেট কাজ করে?
ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক হল একটি সংযোগ মাধ্যম।ইন্টারনেটের সাথে যুক্ত সমস্ত ডিভাইসের একটি নির্দিষ্ট ঠিকানা রয়েছে যা আইপি অ্যাড্রেস নামে আমাদের কাছে পরিচিত।
যখনই কোন ডিভাইসের মাধ্যমে আমরা যোগাযোগ করতে চাই অন্যের সাথে অন্য ব্যক্তির ডিভাইসের আইপি অ্যাড্রেসে পৌছায় সেই তথ্যটি। আইপি অ্যাড্রেস বা ঠিকানা এর মাধ্যমে নির্দিষ্ট ব্যক্তির কাছে পৌঁছানো সম্ভব যে কোন তথ্য।
বলতে গেলে বর্তমানে আমাদের জীবনে ইন্টারনেটের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে গেছে। মূলত আমরা যা কিছু করে থাকি দৈনন্দিন জীবনে সবকিছুই ইন্টারনেটে এর মাধ্যমে। যেমন, টিভির সময়টা আমরা ইউটিউবে ভিডিও দেখি, ফেসবুক এ বিভিন্ন পোস্ট, নিউজ এবং বিভিন্ন ধরনের ভিডিও দেখি , বাড়িতে বসে অনলাইনে এ বাস অথবা ট্রেনের টিকিট কিনি।
সাথে বর্তমানের অনলাইনের মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন ফুড অর্ডার দিতে পারি এবং বিভিন্ন রাইড শেয়ারিং অ্যাপ এর মাধ্যমে অনলাইনে কোথাও যাওয়ার জন্য গাড়ি ঠিক করতে পারি বর্তমানে প্রায় অনেক কিছুই ইন্টারনেট এর মাধ্যমে করা সম্ভব হচ্ছে।
কিছুদিন আগেও ট্রেনে টিকিট কাটার জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে রেলের টিকিট সেলার ব্যক্তির কাছে টাকা দিলে তিনি টিকিট দিতেন। কিন্তুু বর্তমানে ইন্টারনেটের মাধ্যমে সরাসরি রেলের কম্পিউটার এর সাথে যুক্ত হয়ে বাড়িতে বসে টিকিট কাটা সম্ভব হচ্ছে।
একটি ডিভাইস এর সাথে অন্য ডিভাইস যুক্ত করার জন্য ব্যাবহার করা হয় কেবল। সেই কেবল অপটিক্যাল ফাইবার নামে পরিচিত।
কোনো দেশের মধ্যে থাকা ডিভাইস গুলো একে অপরের সাথে যুক্ত থাকে কেবিল অপেরটর অথবা কোনো নেটওয়ার্ক এর মাধ্যমে। যেকোনো দেশের কম্পিউটার বা অন্যান্য ডিভাইস এই ভাবে যুক্ত থাকে।
0 Comments
দয়া করে নীতিমালা মেনে মন্তব্য করুন